Posts

Image
কাবুল হিন্দু শাহী রাজাদের প্রতিরোধ ========================== গৌরচন্দ্রিকাঃ ========= ১৯৯৯ সালের ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের কুখ্যাত বিমান অপহরণ কাণ্ড থেকে মার্কিন মুলুকে জমজ টাওয়ার ধ্বংসের পর ২০০১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন বাহিনীর হামলা, ওসামা বিন লাদেন নামধারী কুখ্যাত ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীর হত্যা, প্রভৃতি নানান কারণে আজ আফগানিস্থান নামটি বিশ্ব প্রসিদ্ধ। আজ থেকে ১২০০ বছর পূর্ব থেকেই এই রাষ্ট্রটি ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় কুখ্যাত ছিল মামুদ গজনী, মহম্মদ ঘোরী, আহমেদ শাহ আবদালি প্রমুখ কুখ্যাত তুর্কি লুণ্ঠনকারীদের দৌরাত্মে। কিন্তু এই পেজের অনুসরণকারী আধুনিক ভারত আর বাংলাদেশের বহু পাঠকরাই হয়তো জানেন না যে ভারতে ইসলামিক আগ্রাসনের প্রারম্ভে আফগানিস্থানও প্রাচীন অখণ্ড ভারতবর্ষের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং প্রাচীন সনাতনী আর বৌদ্ধ ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিল। বর্তমানে আফগানিস্থান ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি ইসলামিক রাষ্ট্র যা পাকিস্তান নামক আরেকটি ইসলামিক রাষ্ট্র দ্বারা বিভক্ত। প্রাচীন আফগানিস্থানের কাহিনীঃ ======================= মহাভারতে আমরা প্রাচীন আফগানিস্থানের বর্ণনা পাই ...
Image
রূপকথা আর কল্পনার ইতিহাস ======================= আলি আসগর চিস্তি জুয়াহারি ফরিদী লাহোরির লেখনী অনুযায়ী আজমীরের খাজা মঈনউদ্দিন চিস্তি ছিলেন এক মহান আর অমিত ক্ষমতাধর সুফি দরবেশ। তিনি নাকি নিজের অলৌকিক ক্ষমতাবলে প্রায় একার হাতে দিল্লি-আজমীরের অন্তিম হিন্দু সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে ভারতের মাটিতে ইসলাম ধর্মের প্রসার করেছিলেন। নিচে দেওয়া হলো আলি আসগরের লেখার সারাংশ। খ্রিষ্টাব্দের প্রথমার্ধ। আফগানিস্থানের ঘুর সাম্রাজ্যের রাজধানী গজনীর দরবারে এসে উপস্থিত হলো এক দরবেশ ফকির। গজনীর মসনদে তখন আসীন সুলতান শিহাবউদ্দিন মহম্মদ ঘোরী। তুর্কি সুলতানের নিকট সেই ফকির আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। কি কারণে তিনি গজনী এসেছেন জানতে চাইলেন সুলতান। জবাবে ফকির জানালো যে তার নাম মঈনউদ্দিন হাসান। তার জন্ম ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের সঞ্জর নামক স্থানে। তাঁর পিতার নাম খাজা গিয়াসুদ্দীন আর মায়ের নাম মাহ্নূর। নবী হজরত মহম্মদের এক শিষ্য। স্বয়ং পরমেশ্বর আল্লাহর নির্দেশ তিনি পৌত্তলিক ধর্মাবলম্বী কাফের ভূমি হিন্দুস্থানে ইসলাম ধর্মের প্রচার আর প্রসারে এসেছেন। কিন্তু সুলতানের সাহায্য ব্যতীত তার একার পক্ষে এই মহান কার্য...
Image
ভারুচের মহাযুদ্ধ (প্রথম পর্ব) ===================== সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন ================ রাজস্থানের ঐতিহাসিক যুদ্ধে সংযুক্ত ভারতীয় বাহিনীর নির্ণায়ক বিজয়ের পর অতিবাহিত হয়েছে প্রায় ২৮৭ বছর, অর্থাৎ প্রায় পৌনে তিন শতাব্দী। ওই যুদ্ধের পর ভারতবর্ষের ভূমি থেকে সমূলে উৎপাটিত হয়েছিল আরব খলিফাদের যাবতীয় প্রভাব। এর মধ্যে ভারতবর্ষ আর কোনরূপ বড় ধরনের বৈদেশিক আগ্রাসনের সম্মুখীন হয়নি। পূজা-আর্চা, নাচ-গান, প্রেম-কলহ আর পারস্পরিক যুদ্ধ-বিগ্রহ ও ব্যবসা বানিজ্যের মধ্যে দিয়ে মোটের উপর বেশ শান্তিপূর্ণ নিরুপ্রদবেই অতিবাহিত হচ্ছিল ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজপরিবার আর প্রজাদের জীবন। কিন্তু এরই মধ্যে ভারতবর্ষের পশ্চিম প্রান্তে ঘূর্ণাবর্তের প্রবল ঝঞ্ঝার ন্যায় ইসলামিক জিহাদের তরবারি হস্তে আবির্ভূত হলো মামেলুক তুর্কি জাতি। গজনী অধিকার করে সুলতান সেবুক্তিগীনের নেতৃত্বে এবারে তারা সমৃদ্ধশালী ভারতবর্ষের দিকে অগ্রসর হলো। মামেলুক তুর্কিদের বাধাদানের উদ্দেশ্যে নীলমের তটে পুনরায় একত্রিত হয়েছিল ভারতীয় বাহিনী। কিন্তু সেই সংযুক্ত বাহিনীর নেতা রাজা আনন্দপালের নির্বুদ্ধিতার ফলে ঐতিহাসিক নীলমের ধর্মযুদ্ধে বিজয়ের মুখ থেকে পরাজয়ে...
Image
আনিগোণ্ডির যুদ্ধ ============= চৌদ্দ শতাব্দীর দাক্ষিণাত্যের পটভূমি ========================== চৌদ্দ শতকের মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষ তখন উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত থেকে আগত বিজাতীয় স্মেচ্ছ তুর্কিদের পদানত। যবন দস্যু বাহিনীর পরাধীনতার শৃঙ্খল তখন আবদ্ধ করেছে সমগ্র মুলতান থেকে কান্যকুব্জ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ উত্তরভারত আর গুজরাট থেকে ভূপাল পর্যন্ত সমগ্র মধ্যভারত। ১৩১০ সালের প্রথম ভাগ। দিল্লির তখতে তখন বর্বর আলাউদ্দিন খিলজির শাসনকাল। খিলজির পাশবিক শক্তির সম্মুখে পদানত গুজরাট আর মেবার সহ সমগ্র আর্যবর্ত্ম। একাদশীর পলতের ন্যায় জালোর নরেশ কানহাড়দেব চৌহান একাকী অসম যুদ্ধ করে চলেছেন স্মেচ্ছ তুর্কি বাহিনীর বিরুদ্ধে। তুর্কিদের নিকট উত্তর আর মধ্যভারতে লুণ্ঠন আর ধ্বংস যোগ্য আর কোন সমৃদ্ধশালী সনাতন ধর্মাবলম্বী রাজ্যের অস্তিত্ব না থাকায় এবারে আলাউদ্দিনের কুনজর পড়লো দাক্ষিণাত্যের দ্রাবিড় ভূমির উপর। স্মেচ্ছ দস্যু বাহিনীর আঁচ তখনও স্পর্শ করেনি দাক্ষিণাত্যকে। তাই ধনধান্যে সুহাংগীতা দাক্ষিণাত্য তখনও প্রাচীনকালের আর্যবর্ত্মের ন্যায় এক সমৃদ্ধশালী ভূমি। ১৩১০ সালে খিলজির বিশ্বস্ত সেনাপতি মালিক কাফুর প্রথমে দাক্ষিণাত্যের প্...